October 7, 2024, 8:17 am

সংবাদ শিরোনাম
মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা! লক্ষ্মীপুরে কুমিরের আতঙ্কে এলাকাবাসী

গাজীপুর মাদ্রাসায় জোড়া খুন: পরিচালক ৩ দিনের রিমান্ডে

গাজীপুর মাদ্রাসায় জোড়া খুন: পরিচালক ৩ দিনের রিমান্ডে

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

গাজীপুরের জোড়া খুনের ঘটনায় প্রধান আসামি মাদ্রাসার পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাসন থানার এসআই আলামিন জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাকে গাজীপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. ইলিয়াস রহমানের আদালতে হাজির করে সাত দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তিন দিন মঞ্জুর করেন। মঙ্গলবার ভোরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনায় হুফ্ফাজুল কোরআন মাদ্রাসায় খুন হন ওই মাদ্রাসার পরিচালক ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (২০) ও নুরানি বিভাগের ছাত্র মো. মামুন (৯)। মাহমুদাকে হত্যার দৃশ্য দেখে ফেলায় মামুনকেও হত্যা করা হয় বলে খলিলকে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য দিয়ে জানান বাসন থানার ওসি মুক্তার হোসেন। তিনি বলেন, জোড়া খুনের প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য খলিলকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় গত বুধবার রাতে মাহমুদার বাবা হানিফ গাজী গাজীপুর মহানগর পুলিশের বাসন থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় মাহমুদার স্বামী ইব্রাহীম খলিলসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে বলে ওসি মুক্তার জানান। পুলিশ এই মামলায় মাদ্রাসা পরিচালক ইব্রাহিম খলিলকে গ্রেফতার করেছে। নিহত মো. মামুনের বাবা শহিদ মিয়ার অভিযোগও অভিন্ন, তাই একটি নেওয়া হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন। তবে কী কারণে ইব্রাহিম স্ত্রী মাহমুদাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন তা জানা যায়নি। গ্রেফতার ইব্রাহীম খলিল হুফ্ফাজুল কোর-আন মাদ্রাসার একটি কক্ষে সপরিবারে বসবাস করছিলেন। খলিলকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে ওসি মুক্তার বলেন, মঙ্গলবার ভোরে ফজরের নামাজের সময় হলে তিনি মাদ্রাসার সকল ছাত্রদের ডেকে তুলে নামাজ পড়ার জন্য মাদ্রাসার বাইরে অবস্থিত মসজিদে পাঠিয়ে দেন খলিল; কিন্তু মামুন ঘুম থেকে উঠে মাদ্রাসার টয়লেটে যাওয়ায় তার যেতে দেরি হয়। সবাই চলে গেছে ভেবে খুনিরা মাহমুদাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় মামুন টয়লেট থেকে বের হয়ে খুনের ঘটনা দেখে ফেলায় তাকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ইব্রাহিম খলিল প্রতিদিন ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য মাদ্রাসার ছাত্রদের ডেকে ঘুম থেকে তুলে তার সঙ্গে মসজিদে নিয়ে যান; কিন্তু ঘটনার দিন ছাত্রদেরকে আগে পাঠিয়ে দেন। পরে ইব্রাহিম খলিল ফজরের নামাজ শুরু করার এক মিনিট আগে মসজিদে যান বলে তদন্তে পাওয়া যায় বলে ওসি জানান। মামলার এজাহারে বাদীর অভিযোগ, তার মেয়ে মাহমুদা আক্তারকে বিয়ে করার সময় ইব্রাহীম অন্যজনকে বাবা-মা সাজিয়ে বিয়ে করেছেন। পরে তারা জানতে পারেন এর আগেও ইব্রাহিম আরেকটি বিয়ে করেছিলন। বিষয়টি পরে জানতে পেরে আমার মেয়েসহ আমাদের মন খারাপ হয়ে যায়। তারপরও মেয়ে মাহমুদা ইব্রাহিমের সাথে ঘর সংসার করতে থাকে। এর মধ্যে আমার মেয়ের ঘরে দুটি ছেলে হোযাইপা (৫) ও আবু হোরাইয়ার (৩) জন্ম হয়। মাঝে মাঝে আমার মেয়ে কান্নাকাটি করে আমাদের বাসায় যেত। কিন্তু জিজ্ঞাসা করলে কিছুই বলত না। এজাহারে আরও বলা হয়, ঘটনার পর মাদ্রাসায় গিয়ে ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করে জানতে পারি- যে দা ও বটি দিয়ে মাহমুদা ও মামুনকে কুপিয়েছে সেই দা ও বটি ঘটনার আগের দিন মাগরিবের নামাজের পর মাদ্রাসার ছাত্রদের মাধ্যমে ধার করিয়েছে ইব্রাহিম। সেই দা-দিয়েই আমার মেয়ে মাহমুদা আক্তার এবং মামুনকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ সেই রক্তমাখা দা বাসার খাটের নিচ থেকে মশারি দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় উদ্ধার করেছে। অভিযোগে আরও বলা হয়, প্রতিদিন মসজিদে ভোরবেলা নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে মাদ্রাসার প্রধান গেইটে তালা দিয়ে যেতেন ইব্রাহিম; কিন্তু ঘটনার দিন তালা না দিয়ে চলে যান। এতে প্রতীয়মান হয় ভোর ৪টা ৩০ মিনিট থেকে ৫টা ১০ মিনিটের ভেতর আমার মেয়ে মাহমুদা আক্তার ও মাদ্রাসার ছাত্র মামুনকে ইব্রাহিম খলিল খুন করেছে। নিহত মাহমুদার গলা, মুখ ও কানে এবং মামুনের ঘাড়, মাথা ও পিঠে ধারোলো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। ঘরের ভেতর থেকে রক্তমাখা একটি দা ও দা ধার দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত একটি কাঠের খন্ড উদ্ধার করা হয়েছে। ওসি মোক্তার হোসেন বলেন, দুইটি হত্যাকা- হলেও আইন অনুযায়ী একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। এতে আইনগত কোনো সমস্যা হবে না।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর